প্রতিষ্ঠাকালঃ ১৯৮০
সাপ্তাহিক পত্রিকা
কর্মক্ষেত্র শুরু থেকেই কর্মক্ষেত্র এবং স্ব-কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রগামী।
*Indian Readership Survey অনুযায়ী একাধিকবার ভারতের প্রথম দশটি স্থানীয় ভাষার পত্রিকাগুলির মধ্যে স্থানপ্রাপ্ত।
কেন এই পত্রিকা
যেমন ঋতুর পর ঋতু আসে, ভোরের পর দুপুর, অক্ষরের পর শব্দ, শব্দের পর বাক্য, ঠিক তেমনই ছাত্রজীবনের পর কর্মজীবন আসা উচিত। প্রস্তুতির পর প্রকাশ। ছাত্রজীবনে আমাদের আত্ম-প্রস্তুতি, কর্মজীবনে আত্মপ্রকাশ ।
ছাত্রজীবন শেষ করেও যাঁরা কর্মজীবন শুরু করতে পারেন না, তাঁদের যেমন বুকভরা গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ, তেমনি যাঁরা এখনো ওই দুঃখজ্বালার সীমানা থেকে দূরে, এখনো ছাত্র, তাঁদেরও এক ধরনের চিনচিনে নৈরাশ্য থাকে। লেখাপড়া শেষ করে কাজ পাবার অনিশ্চয়তা তাদেরও পীড়িত করে।
দেশের এইসব দুঃখজ্বালা, এইসব পীড়া ও নিরাশা অনেকদিন থেকেই আমার মাথায় বাসা বেঁধে ছিল। এই দুঃখ থেকেই একদিন যুগান্তরে লক্ষ লক্ষ কর্মপ্রার্থী ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য লিখতে শুরু করি । আমার ওই এক চিলতে লেখা থেকে কত তরুণ কাজ পেয়েছেন, কতজন যে কতভাবে উপকৃত হয়েছেন, আমার হাজার হাজার মুগ্ধ উপকৃত পাঠক-পাঠিকার চিঠি না পড়লে আমি নিজেও তা জানতে পারতাম না।
চিঠি আসে সারা পূর্ব ভারত থেকে। হাজারে হাজারে। সাধারণত আমি তিন ধরনের চিঠি পাই। এক শ্রেণীর চিঠিতে থাকে কাজ পাবার আনন্দ। এক শ্রেণীর চিঠিতে কাজ পাবার আকুলতা। আর-এক শ্রেণীর চিঠিতে আরো বড় জায়গায় আরো বেশি করে লেখার অনুরোধ ।
এইসব প্রেরণা, এইসব অনুরোধেরই যোগফল এই নতুন পত্রিকা - কর্মক্ষেত্র।
যখন ক্লান্তিবশত ভাবছিলাম, যুগান্তরের কলম লেখা থেকে আট-দশ দিনের ছুটি নিয়ে একলা কোনো পাহাড় কি সমুদ্রের কাছে গিয়ে সেখানকার আকাশের সঙ্গে সেখানকার বাতাসের সঙ্গে খুব অন্যরকম কথা বলব, ঠিক তখনই প্রায় দুম করে শুরু করলাম এই পত্রিকা। তবে কি এটাই আমার সেই পাহাড়, সেই সমুদ্র, সেখানকার সেই আকাশ-বাতাস?
'কর্মক্ষেত্র', সম্পাদকীয় ১ আগস্ট ১৯৮০