অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর জন্ম ৩ মার্চ, ১৯৪১,পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে। জন্মশহরে প্রাথমিক শিক্ষার পর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরে স্কুল শেষ করে বঙ্গবাসী কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে ভর্তি হন ও সেখান থেকে সাম্মানিক বাংলাসহ স্নাতক হয়ে ডব্লুবিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কিছুদিন অপচয় করে শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হন। ক্লাসে কবিতা পড়ানোর পদ্ধতিতে অতৃপ্ত হয়ে অচিরে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
'কবিতা-পরিচয়', 'কর্মক্ষেত্র', 'ভ্রমণ', 'পেশাপ্রবেশ', 'কালের কষ্টিপাথর', 'ছেলেবেলা', 'নারীযুগ' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক, ওয়ার্ল্ড এডিটর্স ফোরামের তৎকালীন একজিকিউটিভ মেম্বার অমরেন্দ্র চক্রবর্তী বিশ্বের নানা দেশে সংবাদপত্র ও পত্রিকা সম্পাদকদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সেইসঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদপত্র-প্রতিষ্ঠানে প্রকাশনা প্রযুক্তি ও সংবাদ পরিবেশনের বিবর্তন বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
সম্পূর্ণ গ্যালারি দেখুন
বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
সম্পূর্ণ গ্যালারি দেখুন১৯৭৯ সালে 'শাদা ঘোড়া', 'ঋষিকুমার' ও ১৯৮৬ -তে 'হীরু ডাকাত', তারপর 'গৌর যাযাবর', 'পাখির খাতা', 'তালগাছের ডোঙা', 'আমাজনের জঙ্গলে', 'বরফের বাগান', 'গরিলার চোখ', 'চোখে দেখা গল্প', 'জল-বাতাসা', ২০১৯-এ প্রকাশিত 'দুরুদুরু', 'চাঁদের তাঁবু' ইত্যাদি ছোটদের বইয়ের লেখক, শিশুসাহিত্যে ভারতের সাহিত্য অকাদেমি, রাজ্য সরকারের বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার ও অন্যান্য সাহিত্য পুরস্কারে সম্মানিত অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর কয়েকটি বই ইতিমধ্যেই বহু ভারতীয় ও বিদেশি ভাষায় অনূদিত। ভ্রমণকাহিনি 'বন্ধুভরা বসুন্ধরা' ও 'পাহাড়ি গরিলার খোঁজে'র পাশাপাশি তাঁর ছোটগল্প সংকলন 'নিমফুলের মধু'র পর ২০১৩ সালে লেখকের প্রথম উপন্যাস 'বিষাদগাথা'। ২০১৯-এ দ্বিতীয় উপন্যাস 'জিপসি রাত'। ২০২১-এ দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ 'দ্রৌপদীর থান'। প্রথম প্রকাশিত কবিতাপুস্তক 'বিক্ষত অন্বেষণ' (১৯৬২)। ১৯৭৩-এ 'বিক্ষত অন্বেষণ, নিরন্তর'। ১৯৭৫-এ 'অন্ধকার শব্দকোষ'। ১৯৮৬-তে 'লেখা না-লেখা'। দীর্ঘকাল পর ২০০৬-এ 'নদী জানে, কচি নিমপাতারাও জানে', ২০১১ সালে 'মৃত্যুর অধিক এই মেরে ফেলা' ও ২০১৭ সালে 'ভূমিকম্পের রাত'।
'ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব পোয়েটস' -এর আমন্ত্রণে বিশ্ব কবি সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন কয়েকটি দেশে। প্রধানত 'ওয়ার্ল্ড এডিটর্স ফোরাম'-এর সম্পাদক-সম্মেলন ও 'ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব পোয়েটস'-এর কবি সম্মেলনে যোগদানের সুযোগে ও 'ভ্রমণ' পত্রিকার জন্য ভ্রমণচিত্র তৈরির তাগিদে ছবি তোলেন। আন্টার্কটিকা, আলাস্কা, আফ্রিকা, সুমেরুবৃত্ত, মোঙ্গোলিয়া, বুলগেরিয়া, জর্ডন, ইজরায়েল ইত্যাদি দেশ ও দুর্গম অঞ্চলের ওপর তাঁর হাতক্যামেরার ভিডিওচিত্র টেলিভিশন চ্যানেলে দীর্ঘকাল নিয়মিত সম্প্রচারিত। কবি, কথাসাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শন ২০১৪ সালে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এ। তাঁর একক চিত্র- প্রদর্শনী ২০১৬ ও ২০১৮-তে কলকাতায়। সাতটি কবিতাপুস্তক-সহ শিশু-কিশোর সাহিত্য, গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকথা মিলিয়ে এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩২। এযুগের পদাবলি 'ক্ষণের বচন' রচনা করেন ক্ষণকথক ছদ্মনামে।
অমরেন্দ্র চক্রবর্তী সম্পর্কে বই


