কবিতা-পরিচয়
বই বিষয়ক
- বইয়ের নাম: কবিতা-পরিচয়
- ভাষা: বাংলা
- প্রকাশক: স্বর্ণাক্ষর
- প্রথম প্রকাশ: ১৯৬৬
- সম্পাদকীয়(সমূহ) / উদ্ধৃতাংশ(সমূহ):
অমরেন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদিত কিংবদন্তি পত্রিকার সংরক্ষণযোগ্য সংকলন
রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, বিষ্ণু দে থেকে শুরু করে শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার পর্যন্ত ২১ জন কবির ৪০টি কবিতা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেছেন বুদ্ধদেব বসু, শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অরুণ সরকার, প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত প্রমুখ কবি।
পাঠ প্রতিক্রিয়া
শঙ্খ ঘোষ (সর্ব অন্যায়ের সদাজাগ্রত প্রতিবাদী কবি ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ)
একজন সদ্যতরুণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া তখনও সাঙ্গ হয়নি তাঁর, একটি পত্রিকার পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন একদিন, ১৯৬৬ সালে। এর মধ্যে বিস্ময়ের কিছু নেই, কেননা ওই বয়সটাই নানারকম দুঃসাহসিক পরিকল্পনা নিয়ে মেতে উঠবার সময়। বিস্ময় ছিল তাঁর ভাবনার নতুনত্বে। সেই তরুণের — অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর — মনে হচ্ছিল, এক্টি মাসিক পত্রিকার দরকার যেখানে কেবল কবিতা পড়বার পদ্ধতি নিয়েই কথা হবে। এক-একটি কবিতা নিয়ে কথা বলবেন এক-একজন। কীভাবে তিনি পড়ছেন সেই কবিতা, বলবেন শুধু সেইটুকুই, আর কিছু নয়। তার জন্য চাই একটা মাসিকপত্র। ... আর শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যিই একদিন শুধুমাত্র পাঁচটি কবিতার পাঁচটি আলোচনা নিয়ে দেখা দিল 'কবিতা-পরিচয়’ নামের ছিমছাল একটি পত্রিকা, বৈশাখের এক গরম দুপুরে। আর, আশ্চর্য, প্রথম সংখ্যা থেকেই তার কপালে আদরও জুটল অনেক। মনে হলো অনেক পাঠকেরই যেন মনে মনে অগোচর এক প্রতীক্ষা ছিল এমন কোনো পত্রিকার জন্য।[ সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন ]
অশোক মিত্র (অর্থনীতিবিদ, রাজ্যের ভূতপূর্ব অর্থমন্ত্রী, 'আরেক রকম’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক)
হয়তো সম্প্রতি 'হীরু ডাকাত' লিখে সুবিখ্যাত অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর ঘটনাটি মনে আছে, হয়তো ওঁর মনে নেই, কারণ ইতিমধ্যে দুই কুড়ি বছরের বেশি সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। ষাটের দশকে বরাবরই - কবিতা-পাগল অমরেন্দ্র চক্রবর্তী একটি অতি দুঃসাহসী সাময়িক পত্রিকা - 'কবিতা-পরিচয়' প্রকাশ করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পত্রিকাটির প্রতি সংখ্যায় - এখন ক'জনই আর মনে রেখেছেন সেই অত্যাশ্চর্য অভিযানের কথা-_ সারা সংখ্যা জুড়ে পাঁচ-ছ'টি কবিতার আলাদা-আলাদা বিশ্লেষণ ছাপা হতো, প্রতিটি বিশ্লেষণ আস্ত একটি প্রবন্ধের আকার পেত । 'কবিতা-পরিচয়'-এ যাঁরা লিখতেন, তাঁরা ভালোবেসে লিখতেন, শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রেমের বিবাহ ঘটিয়ে লিখতেন, কবিতার কী তুলনাহীন মর্যাদার স্থান বাঙালির আবেগপ্রকোষ্ঠে, তার উদ্ধত-সুতীব্র প্রমাণ দাখিল করবার জন্যই যেন লিখতেন। অমরেন্দ্র চক্রবর্তীকে কেউ মাথার দিব্যি দিয়েছিল না যে এধরনের পত্রিকা না বের করলে তা সমাজ-বিরোধিতা হবে, তাঁকে শূলে চড়ানো হবে, কিন্তু ইন্দ্রনাথ মজুমদার ও অমরেন্দ্র চক্রবর্তী মতো কিছু-কিছু পাগল এখনো বাংলার পথে-ঘাটে সঞ্চারমান বলেই স্বাতন্ত্র্যের গর্ব নিয়ে টিকে আছি আমরা । কী করে এখনো টিঁকে আছি সেই রহস্যের যখন কেউ অনুসন্ধান করেন হঠাৎ বাইরে থেকে এসে, আমাদের ঠোঁটের প্রান্তে একটি ঠাসবুনুন জবাব তাই অন্তত তৈরি।[ সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন ]
জয় গোস্বামী (সাহিত্যিক)
১৯৬৭ সালে, অথবা '৬৬-তেও হতে পারে - অমরেন্দ্র চক্রবর্তী শুরু করেছিলেন একটি পত্রিকার প্রকাশ। তার নাম 'কবিতা-পরিচয়' । এই পত্রিকাটিতে, প্রতি সংখ্যায়, বিভিন্ন কবির এক-একটি করে কবিতা ধরে তার ওপর আলোচনা করতেন অন্য অন্য কবি এবং আলোচকরা। আমি যে 'গোঁসাইবাগান' লেখার পরিকল্পনা করি, সেই পরিকল্পনা আমি অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর 'কবিতা-পরিচয়' দেখেই শিখেছি। অত ভাল তো আর হয়নি, কিন্তু এমনটা যে করা যায়, তা আমার মাথায় আসে অমরেন্দ্রবাবুর 'কবিতা-পরিচয়'-এর নির্বাচিত সংগ্রহ দেখার পর। ... কবিতা যাঁরা ভালবাসেন তাঁদের অনুরোধ করব 'নির্বাচিত কবিতা-পরিচয়' বইটি পড়ার জন্য। সেসব আলোচনা পড়লে বোঝা যাবে কবিতাকে কত দিক দিয়ে দেখা যায়।সংবাদ প্রতিদিন, ১ এপ্রিল ২০১২
কালীকৃষ্ণ গুহ (কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক)
গত শতকের ষাটের দশকের...পরের দিকে বাংলা ভাষার আশ্চর্যতম পত্রিকাটি তাঁর হাত থেকে সম্পাদিত হয়ে এল — 'কবিতা-পরিচয়'—বাঙালি পাঠকের হাতে। বাংলা ভাষায় বিখ্যাত কিছু কবিতার আলোচনা প্রতি-আলচনা নিয়ে বহুস্ব এসে পৌঁছল পাঠকের কাছে। কবিতা যে বুঝতেও হয় — বোঝারও যে বহু দৃষ্টিকোণ আছে — বহু রকম ভাষ্যই যে সম্ভব— এইসব কথা সামনে উঠে এল। সারা শহরের সচেতন কবিতা পাঠক ও কবিসমাজ টানটান হয়ে নিজেদের অবস্থান নিতে লাগলেন এই পত্রিকাটিকে ঘিরে।[ সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন ]
পবিত্র সরকার (ভাষাতাত্ত্বিক, প্রাক্তন অধ্যাপক ও উপাচার্য, সাহিত্যিক)
যে পত্রিকাটি প্রকাশ করে অমরেন্দ্র বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাসে নিজের নাম স্থায়ীভাবে উৎকীর্ণ করল তার নাম 'কবিতা-পরিচয়'।... এ পত্রিকার অনন্যতা হল যে তা কবিতার পত্রিকা নয়, কবিতা পরিচয়-এর পত্রিকা...বিদেশে মার্কিনি নব্য সমালোচনায় যে close reading-এর ঐতিহ্য তৈরি হয়েছিল, যেন তারই ধরনে কবিতার পর কবিতার আলোচনা নিয়ে একটি সংখ্যা।[ সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন ]
চিন্ময় গুহ (কবি, প্রাবন্ধিক, ফরাসিসাহিত্য বিশেষজ্ঞ)
অমরেন্দ্র চক্রবর্তী এক জীবনে যা করেছেন তা করতে বোধহয় দশটি জীবন লাগে। ... 'ক্লাস-পড়ার দায়’ ছেড়ে দিয়ে সকাল থেকে, কখনও বা সারা রাত, বাড়িছাড়া অমরেন্দ্র তোইরি করলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যে দুটি শ্রেষ্ঠ পত্রিকা 'কবিতা’ আর 'পরিচয়’ নাম মিলিয়ে বোইপলবিক এক পত্রিকা 'কবিতা-পরিচয়'। কবিতা-পাঠ নিয়ে এই স্বতন্ত্র পত্রিকা ছয়ের দশকে স্বল্প সময়ে একটি স্বর্ণময় অধ্যায় রেখে গেছে।[ সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন ]
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় (প্রাক্তন প্রশাসক, লেখক, অনুবাদক)
...'কবিতা-পরিচয়' বইটি বাংলা সাহিত্যের এক সম্পদ। বিশেষ করে তরুণ কবিদের এই বইটি পড়া অত্যন্ত জরুরি। একটি কবিতা দ'জন বা অনেকে মিলে কীভাবে ব্যবচ্ছেন করেছেন, অনেক সময় একে অপরের ঠিক বিপরীত কথা বলছেন, কেন বলছেন, তা পড়লে স্পষ্ট হবে বাংলা কবিতার অন্দরমহল। ... সংস্করণটির ইতিহাসমূল্য তাই অপরিসীম।[ সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন ]